আ,হ,জুবেদঃ কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট গুলোতে নানা স্বাদের বাহারি সব ইফতার সামগ্রীর বিশাল সমাহার।
মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে বাংলাদেশীদের হাতে বানানো হরেক রকম ইফতার সামগ্রী বেচা-কেনা দেখে মনে হয় এযেনো প্রাচীন নগরী ঢাকার ইফতার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র চকবাজার।
প্রায় তিন লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মস্থল কুয়েত। ধনী দেশ হিসেবে শীর্ষ ১০ দেশের শেষের স্থানটি দখল করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।
কুয়েতের হাসাবিয়া, একটি বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার নাম, এখানে একেবারেই বাংলাদেশী পরিবেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঘুরে বেড়ানো-চলাফেরা, খাবার, আড্ডা ও দোকানপাট সহ ইত্যাদি।
বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে দিনের সিংহভাগ সময় রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকে, কিন্তু বিকেল গড়ালেই আবার রেস্টুরেন্ট গুলো খুলতে শুরু করে এবং বাহারি রকমের ইফতার বেচা-কেনায় মুখরিত হয়ে উঠে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এই এলাকাটি।
কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যাধিক’ই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন, প্রবাসীরা কোম্পানির কাজ শেষে ঘরে ফিরে ইফতার তৈরি করার যথেষ্ট সময় না পেয়ে রেস্টুরেন্ট গুলোতে সাজানো নানা স্বাদের মুখরোচক ইফতার কিনতে ভিড় জমান।
একদিকে ইফতার বিক্রেতা খুশি ভালো ব্যবসা হচ্ছে ভেবে, অন্যদিকে রোজাদার ক্রেতা খুশি কম খরচে ভালো মানের ইফতার কিনতে পেরে।
এবার ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এখানে পাওয়া যাচ্ছে সুতি কাবাব, ডিম চপ,ডিম ভাজা, পরোটা, শাহী কাবাব, সুতি কাবাব, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং,মাঠা ইত্যাদি।
আর পরিচিত খাবারের মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, সমুচা,বেগুনি, আলুর চপ, পিয়াজু, জিলাপিসহ নানা পদের খাবার নিয়ে সাজিয়েছেন কুয়েতে বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারা।